আজকাল ওয়েবডেস্ক: কর্নাটক সরকার রাজ্যজুড়ে ট্যাটু পার্লারের উপর বিধিনিষেধ আরোপের কথা বিবেচনা করছে। রাজ্য সরকারের তরফে ট্যাটু শিল্পকে নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনা এবং ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সুরক্ষা উদ্বেগ মোকাবিলায় একটি নতুন আইন খসড়া করার জন্য কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ ও দাবি করা হয়েছে।
ভারতে প্রথমবারের মতো, এই ট্যাটু পার্লারের জন্য নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা চালু করার জন্য আলোচনা চলছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ একটি প্রস্তাব প্রস্তুত করছে যা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হবে। এই প্রস্তাবের লক্ষ্য ট্যাটুর সঙ্গে সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলা করা।
বর্তমানে, ভারতে ট্যাটু শিল্প নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রক আইন নেই, যার ফলে শিল্পটি মূলত নিয়ন্ত্রণহীন। সাম্প্রতিক রিপোর্চটে দেখা গিয়েছে যে, ট্যাটুকে ত্বকের ক্যান্সার, এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি এবং সি, স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াসের মতো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ-সহ গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকিকারণ হয়ে উঠছে। ট্যাটু-সম্পর্কিত সংক্রমণের কারণে এইডস, ক্যান্সার এবং ত্বকের রোগের ঘটনা বৃদ্ধিও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। দুর্বল স্বাস্থ্যবিধি মান এবং ট্যাটু প্রক্রিয়ায় বিপজ্জনক রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।
কর্নাটক সরকার ট্যাটু করতে আগ্রহী ব্যক্তিদের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর নির্দেশিকা চালু করতে চায়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও বলেছেন, "খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিশনার চিঠিটি পাঠাবে। বর্তমানে, কোনও নির্দিষ্ট প্রোটোকল ছাড়াই সব ধরণের উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলি মূলত শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে ধাতু, তবে এগুলি ওষুধ বা প্রসাধনী আইনের আওতায় পড়ে না। তাই, এর জন্য আমাদের সঠিক নির্দেশিকা চালু করতে হবে।"
